পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া। যাত্রাপথের আনন্দগান যে গাহে তারি কণ্ঠে তোমারি গান গাওয়া। চায় না সে জন পিছন-পানে ফিরে, বায় না তরী কেবল তীরে তীরে, তুফান তারে ডাকে অকূল নীরে যার পরানে লাগল তোমার হাওয়া। পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া। পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথিক-চিত্তে তোমার তরী বাওয়া। দুয়ার খুলে সমুখ-পানে যে চাহে তার চাওয়া যে তোমার পানে চাওয়া। বিপদ বাধা কিছুই ডরে না সে, রয় না পড়ে কোনো লাভের আশে, যাবার লাগি মন তারি উদাসে-- যাওয়া সে যে তোমার পানে যাওয়া। পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া।
তোমারে পাছে সহজে বুঝি তাই কি এত লীলার ছল, বাহিরে যবে হাসির ছটা ভিতরে থাকে আঁখির জল। বুঝি গো আমি বুঝি গো তব ছলনা, যে কথা তুমি বলিতে চাও সে কথা তুমি বল না। তোমারে পাছে সহজে ধরি কিছুরই তব কিনারা নাই-- দশের দলে টানি গো পাছে বিরূপ তুমি, বিমুখ তাই। বুঝি গো আমি বুঝি গো তব ছলনা, যে পথে তুমি চলিতে চাও সে পথে তুমি চল না। সবার চেয়ে অধিক চাহ তাই কি তুমি ফিরিয়া যাও-- হেলার ভরে খেলার মতো ভিক্ষাঝুলি ভাসায়ে দাও। বুঝেছি আমি বুঝেছি তব ছলনা, সবার যাহে তৃপ্তি হল তোমার তাহে হল না।