বশীরহাটেতে বাড়ি বশ-মানা ধাত তার, ছেলে বুড়ো যে যা বলে কথা শোনে যার-তার। দিনরাত সর্বথা সাধে নিজ খর্বতা, মাথা আছে হেঁট-করা, সদা জোড়-হাত তার, সেই ফাঁকে কুকুরটা চেটে যায় পাত তার।
তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভ'রে নিশিদিন অনিমেষে দেখছ মোরে। আমি চোখ এই আলোকে মেলব যবে তোমার ওই চেয়ে-দেখা সফল হবে, এ আকাশ দিন গুনিছে তারি তরে। ফাগুনের কুসুম-ফোটা হবে ফাঁকি, আমার এই একটি কুঁড়ি রইলে বাকি। সেদিনে ধন্য হবে তারার মালা, তোমার এই লোকে লোকে প্রদীপ জ্বালা; আমার এই আঁধারটুকু ঘুচলে পরে।
আমার কণ্ঠ তাঁরে ডাকে, তখন হৃদয় কোথায় থাকে? যখন হৃদয় আসে ফিরে আপন নীরব নীড়ে আমার জীবন তখন কোন্ গহনে বেড়ায় কিসের পাকে? যখন মোহ আমায় ডাকে তখন লজ্জা কোথায় থাকে? যখন আনেন তমোহারী আলোক-তরবারি তখন পরান আমার কোন্ কোণে যে লজ্জাতে মুখ ঢাকে?