মিছে হাসি মিছে বাঁশি মিছে এ যৌবন, মিছে এই দরশের পরশের খেলা। চেয়ে দেখো, পবিত্র এ মানবজীবন, কে ইহারে অকাতরে করে অবহেলা! ভেসে ভেসে এই মহা চরাচরস্রোতে কে জানে গো আসিয়াছে কোন্খান হতে, কোথা হতে নিয়ে এল প্রেমের আভাস, কোন্ অন্ধকার ভেদি উঠিল আলোতে। এ নহে খেলার ধন, যৌবনের আশ-- বোলো না ইহার কানে আবেশের বাণী! নহে নহে এ তোমার বাসনার দাস, তোমার ক্ষুধার মাঝে আনিয়ো না টানি! এ তোমার ঈশ্বরের মঙ্গল-আশ্বাস, স্বর্গের আলোক তব এই মুখখানি।
আমার নামটা দিয়ে ঢেকে রাখি যারে মরছে সে এই নামের কারাগারে। সকল ভুলে যতই দিবারাতি নামটারে ওই আকাশপানে গাঁথি, ততই আমার নামের অন্ধকারে হারাই আমার সত্য আপনারে। জড়ো করে ধূলির 'পরে ধূলি নামটারে মোর উচ্চ করে তুলি। ছিদ্র পাছে হয় রে কোনোখানে চিত্ত মম বিরাম নাহি মানে, যতন করি যতই এ মিথ্যারে ততই আমি হারাই আপনারে।