আলোকের অন্তরে যে আনন্দের পরশন পাই, জানি আমি তার সাথে আমার আত্মার ভেদ নাই এক আদি জ্যোতি-উৎস হতে চৈতন্যের পুণ্যস্রোতে আমার হয়েছে অভিষেক, ললাটে দিয়েছে জয়লেখ, জানায়েছে অমৃতের আমি অধিকারী; পরম-আমির সাথে যুক্ত হতে পারি বিচিত্র জগতে প্রবেশ লভিতে পারি আনন্দের পথে।
এ ঘরে ফুরালো খেলা, এল দ্বার রুধিবার বেলা। বিলয়বিলীন দিনশেষে ফিরিয়া দাঁড়াও এসে যে ছিলে গোপনচর জীবনের অন্তরতর। ক্ষণিক মুহূর্ততরে চরম আলোকে দেখে নিই স্বপ্নভাঙা চোখে; চিনে নিই, এ লীলার শেষ পরিচয়ে কী তুমি ফেলিয়া গেলে, কী রাখিলে অন্তিম সঞ্চয়ে। কাছের দেখায় দেখা পূর্ণ হয় নাই, মনে-মনে ভাবি তাই-- বিচ্ছেদের দূরদিগন্তের ভূমিকায় পরিপূর্ণ দেখা দিবে অস্তরবিরশ্মির রেখায়। জানি না, বুঝিব কিনা প্রলয়ের সীমায় সীমায় শুভ্রে আর কালিমায় কেন এই আসা আর যাওয়া, কেন হারাবার লাগি এতখানি পাওয়া। জানি না, এ আজিকার মুছে-ফেলা ছবি আবার নূতন রঙে আঁকিবে কি তুমি, শিল্পীকবি।