অলস মনের আকাশেতে প্রদোষ যখন নামে, কর্মরথের ঘড়্ঘড়ানি যে-মুহূর্তে থামে, এলোমেলো ছিন্নচেতন টুকরো কথার ঝাঁক জানি নে কোন্ স্বপ্নরাজের শুনতে যে পায় ডাক, ছেড়ে আসে কোথা থেকে দিনের বেলার গর্ত-- কারো আছে ভাবের আভাস কারো বা নেই অর্থ-- ঘোলা মনের এই যে সৃষ্টি, আপন অনিয়মে ঝিঁঝির ডাকে অকারণের আসর তাহার জমে। একটুখানি দীপের আলো শিখা যখন কাঁপায় চার দিকে তার হঠাৎ এসে কথার ফড়িং ঝাঁপায়। পষ্ট আলোর সৃষ্টি-পানে যখন চেয়ে দেখি মনের মধ্যে সন্দেহ হয় হঠাৎ মাতন এ কি। বাইরে থেকে দেখি একটা নিয়ম-ঘেরা মানে, ভিতরে তার রহস্য কী কেউ তা নাহি জানে। খেয়াল-স্রোতের ধারায় কী সব ডুবছে এবং ভাসছে-- ওরা কী-যে দেয় না জবাব, কোথা থেকে আসছে। আছে ওরা এই তো জানি, বাকিটা সব আঁধার-- চলছে খেলা একের সঙ্গে আর-একটাকে বাঁধার। বাঁধনটাকেই অর্থ বলি, বাঁধন ছিঁড়লে তারা কেবল পাগল বস্তুর দল শূন্যেতে দিক্হারা।