"কোরো না ছলনা, কোরো না ছলনা যেয়ো না ফেলিয়া মোরে! এতই যাতনা দুখিনী আমারে দিতেছ কেমন করে? গাঁথিয়া রেখেছি পরাতে মালিকা তোমার গলার-'পরে, কোরো না ছলনা, কোরো না ছলনা, যেয়ো না ফেলিয়া মোরে! এতই যাতনা দুখিনী-বালারে দিতেছ কেমন করে? যে শপথ তুমি বলেছ আমারে মনে করে দেখো তবে, মনে করো সেই কুঞ্জ যেথায় কহিলে আমারি হবে। কোরো না ছলনা-- কোরো না ছলনা যেয়ো না ফেলিয়া মোরে, এতই যাতনা দুখিনী-বালারে দিতেছ কেমন করে?' এত বলি এক কাঁদিছে ললনা ভাসিছে লোচন-লোরে "কোরো না ছলনা-- কোরো না ছলনা যেয়ো না ফেলিয়া মোরে। এতই যাতনা দুখিনী-বালারে দিতেছ কেমন করে?'
আর আমায় আমি নিজের শিরে বইব না। আর নিজের দ্বারে কাঙাল হয়ে রইব না। এই বোঝা তোমার পায়ে ফেলে বেড়িয়ে পড়ব অবহেলে-- কোনো খবর রাখব না ওর, কোনো কথাই কইব না। আমায় আমি নিজের শিরে বইব না। বাসনা মোর যারেই পরশ করে সে, আলোটি তার নিবিয়ে ফেলে নিমেষে। ওরে সেই অশুচি, দুই হাতে তার যা এনেছে চাই নে সে আর, তোমার প্রেমে বাজবে না যা সে আর আমি সইব না আমায় আমি নিজের শিরে বইব না।