I.71. gagan ghata ghaharani, sadho CLOUDS THICKEN in the sky! O, listen to the deep voice of their roaring; The rain comes from the east with its monotonous murmur. Take care of the fences and boundaries of your fields, lest the rains overflow them; Prepare the soil of deliverance, and let the creepers of love and renunciation be soaked in this shower. It is the prudent farmer who will bring his harvest home; he shall fill both his vessels, and feed both the wise men and the saints.
তরুবিলাসী আমাদের এক তরুণ বন্ধু এই আশ্রমের এক কোণে পথের ধারে একখানি গোলাকার কুটির রচনা করেছেন । সেটি আছে একটি পুরাতন তালগাছের চরণ বেষ্টন ক"রে । তাই তার নাম হয়েছে তালধ্বজ । এটি যেন মৌচাকের মতো,নিভৃতবাসের মধু দিয়ে ভরা । লোভনীয় বলেই মনে করি, সেইসঙ্গে এও মনে হয় বাসস্থান সম্বন্ধে অধিকারভেদ আছে; যেখানে আশ্রয় নেবার ইচ্ছা থাকে সেখানে হয়তো আশ্রয় নেবার যোগ্যতা থাকেনা । তোমার কুটিরের সমুখবাটে পল্লিরমণীরা চলেছে হাটে । উড়েছে রাঙা ধূলি, উঠেছে হাসি-- উদাসী বিবাগীর চলার বাঁশি আঁধারে আলোকেতে সকালে সাঁঝে পথের বাতাসের বুকেতে বাজে । যা-কিছু আসে যায় মাটির "পরে পরশ লাগে তারি তোমার ঘরে । ঘাসের কাঁপা লাগে, পাতার দোলা, শরতের কাশবনে তুফান-তোলা, প্রভাতে মধূপের গুনগুনানি, নিশিথে ঝিঁঝিঁরবে জাল-বুনানি । দেখেছি ভোরবেলা ফিরিছ একা, পথের ধারে পাও কিসের দেখা । সহজে সুখী তুমি জানে তা কেবা-- ফুলের গাছে তব স্নেহের সেবা । এ কথা কারো মনে রবে কি কালি, মাটির "পরে গেলে হৃদয় ঢালি । দিনের পরে দিন যে দান আনে তোমার মন তারে দেখিতে জানে । নম্র তুমি,তাই সরলচিতে সবার কাছে কিছু পেরেছ নিতে, উচ্চ-পানে সদা মেলিয়া আঁখি নিজেরে পলে পলে দাও নি ফাঁকি । চাও নি জিনে নিতে হৃদয় কারো, নিজের মন তাই দিতে যে পার । তোমার ঘরে আসে পথিকজন, চাহে না জ্ঞান তারা, চাহে না ধন, এটুকু বুঝে যায় কেমনধারা তোমারি আসনের শরিক তারা । তোমার কুটিরের পুকুর পাড়ে ফুলের চারাগুলি যতনে বাড়ে । তোমার কথা নাই, তারাও বোবা, কোমল কিশলয়ে সরল শোভা । শ্রদ্ধা দাও,তবু মূখ না খোলে, সড়জে বোঝা যায় নীরব ব"লে । তোমারি মতো তব কুটিরখানি, স্নিগ্ধ ছায়া তার বলে না বাণী । তাহার শিয়রেতে তালের গাছে বিরল পাতাকটি আলোয় নাচে, সমুখে খোলা মাঠ করিছে ধূ ধূ, দাঁড়ায়ে দুরে দুরে খেজুর শুধু । তোমারি বাসাখানি আঁটিয়া মুঠি চাহে না আঁকড়িতে কালের ঝুঁটি । দেখি যে পথিকের মতোই তাকে, থাকা ও না -থাকার সীমায় থাকে । ফুলের মতো ও যে, পাতার মতো, যখন যাবে,রেখে যাবে না ক্ষত । নাইকো রেষারেষি পথে ও ঘরে, তাহারা মেশামেশি সহজে করে । কীর্তিজালে ঘেরা আমি তো ভাবি, তোমার ঘরে ছিল আমারো দাবি; হারায়ে ফেলেছি সে ঘূর্ণিবায়ে, অনেক কাজে আর অনেক দায়ে ।
দিনের শেষে ঘুমের দেশে ঘোমটা-পরা ওই ছায়া ভুলালো রে ভুলালো মোর প্রাণ। ও পারেতে সোনার কূলে আঁধারমূলে কোন্ মায়া গেয়ে গেল কাজ-ভাঙানো গান। নামিয়ে মুখ চুকিয়ে সুখ যাবার মুখে যায় যারা ফেরার পথে ফিরেও নাহি চায়, তাদের পানে ভাঁটার টানে যাব রে আজ ঘরছাড়া-- সন্ধ্যা আসে দিন যে চলে যায়। ওরে আয় আমায় নিয়ে যাবি কে রে দিনশেষের শেষ খেয়ায়। সাঁজের বেলা ভাঁটার স্রোতে ও পার হতে একটানা একটি-দুটি যায় যে তরী ভেসে। কেমন করে চিনব ওরে ওদের মাঝে কোন্খানা আমার ঘাটে ছিল আমার দেশে। অস্তাচলে তীরের তলে ঘন গাছের কোল ঘেঁষে ছায়ায় যেন ছায়ার মতো যায়, ডাকলে আমি ক্ষণেক থামি হেথায় পাড়ি ধরবে সে এমন নেয়ে আছে রে কোন্ নায়। ওরে আয় আমায় নিয়ে যাবি কে রে দিনশেষের শেষ খেয়ায়। ঘরেই যারা যাবার তারা কখন গেছে ঘরপানে, পারে যারা যাবার গেছে পারে; ঘরেও নহে, পারেও নহে, যে জন আছে মাঝখানে সন্ধ্যাবেলা কে ডেকে নেয় তারে। ফুলের বার নাইকো আর, ফসল যার ফলল না-- চোখের জল ফেলতে হাসি পায়-- দিনের আলো যার ফুরালো, সাঁজের আলো জ্বলল না, সেই বসেছে ঘাটের কিনারায়। ওরে আয় আমায় নিয়ে যাবি কে রে বেলাশেষের শেষ খেয়ায়।