বন্দী হয়ে আছ তুমি সুমধুর স্নেহে অয়ি গৃহলক্ষ্মী, এই করুণক্রন্দন এই দুঃখদৈন্যে-ভরা মানবের গেহে। তাই দুটি বাহু'পরে সুন্দরবন্ধন সোনার কঙ্কণ দুটি বহিতেছে দেহে শুভচিহ্ন, নিখিলের নয়ননন্দন। পুরুষের দুই বাহু কিণাঙ্ক-কঠিন সংসারসংগ্রামে, সদা বন্ধনবিহীন; যুন্ধ-দ্বন্দ্ব যত কিছু নিদারুণ কাজে বহ্নিবাণ বজ্রসম সর্বত্র স্বাধীন। তুমি বদ্ধ স্নেহ-প্রেম-করুণার মাঝে-- শুধু শুভকর্ম, শুধু সেবা নিশিদিন। তোমার বাহুতে তাই কে দিয়াছে টানি, দুইটি সোনার গণ্ডি, কাঁকন দুখানি।
এই তীর্থ-দেবতার ধরণীর মন্দির-প্রাঙ্গণে যে পূজার পুষ্পাঞ্জলি সাজাইনু সযত্ন চয়নে সায়াহ্নের শেষ আয়োজন; যে পূর্ণ প্রণামখানি মোর সারা জীবনের অন্তরের অনির্বাণ বাণী জ্বালায়ে রাখিয়া গেনু আরতির সন্ধ্যাদীপ-মুখে সে আমার নিবেদন তোমাদের সবার সম্মুখে হে মোর অতিথি যত। তোমরা এসেছ এ জীবনে কেহ প্রাতে, কেহ রাতে, বসন্তে, শ্রাবণ-বরিষনে; কারো হাতে বীণা ছিল, কেহ বা কম্পিত দীপশিখা এনেছিলে মোর ঘরে; দ্বার খুলে দুরন্ত ঝটিকা বার বার এনেছ প্রাঙ্গণে। যখন গিয়েছ চলে দেবতার পদচিহ্ন রেখে গেছ মোর গৃহতলে। আমার দেবতা নিল তোমাদের সকলের নাম; রহিল পূজায় মোর তোমাদের সবারে প্রণাম।
THE INNER world rounded in my life like a fruit, matured in joy and sorrow, will drop into the darkness of the original soil for some further course of creation.