পাড়ায় কোথাও যদি কোনো মৌচাকে একটুকু মধু বাকি থাকে, যদি তা পাঠাতে পার ডাকে, বিলাতি সুগার হতে পাব নিস্তার, প্রাতরাশে মধুরিমা হবে বিস্তার। মধুর অভাব যবে অন্তরে বাজে "গুড়ং দদ্যাৎ' বাণী বলে কবিরাজে। দায়ে পড়ে তাই লুচি-পাউরুটিগুলো গুড় দিয়ে খাই; বিমর্ষমুখে বলি "গুড়ং দদ্যাৎ', সে যেন গদ্যের দেশে আসি পদ্যাৎ। খালি বোতলের পানে চেয়ে চেয়ে চিত্ত নিশ্বাস ফেলে বলে, সকলই অনিত্য। সম্ভব হয় যদি এ বোতলটারে পূর্ণতা এনে দিতে পারে দূর হতে তোমার আতিথ্য। গৌড়ী গদ্য হতে মধুময় পদ্য দর্শন দিতে পারে সদ্য।
তোমারে শতধা করি ক্ষুদ্র করি দিয়া মাটিতে লুটায় যারা তৃপ্ত-সুপ্ত হিয়া সমস্ত ধরণী আজি অবহেলাভরে পা রেখেছে তাহাদের মাথার উপরে। মনুষ্যত্ব তুচ্ছ করি যারা সারাবেলা তোমারে লইয়া শুধু করে পূজা-খেলা মুগ্ধভাবভোগে, সেই বৃদ্ধ শিশুদল সমস্ত বিশ্বের আজি খেলার পুত্তল। তোমারে আপন-সাথে করিয়া সমান যে খর্ব বামনগণ করে অবমান কে তাদের দিবে মান! নিজ মন্ত্রস্বরে তোমারেই প্রাণ দিতে যারা স্পর্ধা করে কে তাদের দিবে প্রাণ! তোমারেও যারা ভাগ করে, কে তাদের দিবে ঐক্যধারা!