আছে আমার হৃদয় আছে ভরে এখন তুমি যা-খুশি তাই করো। এমনি যদি বিরাজ অন্তরে বাহির হতে সকলি মোর হরো। সব পিপাসার যেথায় অবসান সেথায় যদি পূর্ণ কর প্রাণ, তাহার পরে মরুপথের মাঝে উঠে রৌদ্র উঠুক খরতর। এই যে খেলা খেলছ কত ছলে এই খেলা তো আমি ভালোবাসি। এক দিকেতে ভাসাও আঁখিজলে আরেক দিকে জাগিয়ে তোল হাসি। যখন ভাবি সব খোয়ালেম বুঝি, গভীর করে পাই তাহারে খুঁজি, কোলের থেকে যখন ফেল দূরে বুকের মাঝে আবার তুলে ধর।
শ্লথপ্রাণ দুর্বলের স্পর্ধা আমি কভু সহিব না। লোলুপ সে লালায়িত, প্রেমেরে সে করে বিড়ম্বনা ক্লেদঘন চাটুবাক্যে, বাষ্পে বিজড়িত দৃষ্টি তার কলুষকুণ্ঠিত অঙ্গে লিপ্ত করে গ্লানি লালসার, আবেশে মন্থর কণ্ঠে গদ্গদ সে প্রার্থনা জানায় আলোকবঞ্চিত তার অন্তরের কানায় কানায় দুষ্ট ফেন উঠে বুদ্বুদিয়া-- ফেটে যায়, দেয় খুলি রুদ্ধ বিষবায়ু। গলিত মাংসের যেন ক্রিমিগুলি কল্পনাবিকার তার শিথিল চিন্তার তলে তলে আকুলিতে থাকে কিলিবিলি।-- যেন প্রাণপণ বলে মন তারে করে কষাঘাত! জীর্ণমজ্জা কাপুরুষে নারী যদি গ্রাহ্য করে, লজ্জিত দেবতা তারে দুষে অসহ্য সে অপমানে। নারী সে-যে মহেন্দ্রের দান, এসেছে ধরিত্রীতলে পুরুষেরে সঁপিতে সম্মান।