×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
লেখন
লেখন
লেখন (100)
১০০
১০০
দিনে দিনে মোর কর্ম আপন দিনের মজুরি পায়।
প্রেম সে আমার চিরদিবসের চরম মূল্য চায়॥
Rendition
Related Topics
আষাঢ়
Verses
নব বরষার দিন
বিশ্বলক্ষ্মী তুমি আজ নবীন গৌরবে সমাসীন
রিক্ত তপ্ত দিবসের নীরব প্রহরে
ধরণীর দৈন্য 'পরে
ছিলে তপস্যায় রত
রুদ্রের চরণতলে নত।
উপবাসশীর্ণ তনু, পিঙ্গল জটিল কেশপাশ,
উত্তপ্ত নিঃশ্বাস।
দুঃখেরে করিলে দগ্ধ দুঃখেরি দহনে
অহনে অহনে;
শুষ্কেরে জ্বালায়ে তীব্র অগ্নিশিখারূপে
ভস্ম করি দিলে তারে তোমার পূজার পুণ্যধূপে।
কালোরে করিলে আলো,
নিস্তেজেরে করিলে তেজালো;
নির্মম ত্যাগের হোমানলে
সম্ভোগের আবর্জনা লুপ্ত হয়ে গেল পলে পলে।
অবশেষে দেখা দিল রুদ্রের উদার প্রসন্নতা
বিপুল দাক্ষিণ্যে অবনতা
উৎকণ্ঠিতা ধরণীর পানে।
নির্মল নবীন প্রাণে
অরণ্যানী
লভিল আপন বাণী।
দেবতার বর
মুহূর্তে আকাশ ঘিরি রচিল সজল মেঘস্তর।
মরুবক্ষে তৃণরাজি
পেতে দিল আজি
শ্যাম আস্তরণ,
নেমে এল তার'পরে সুন্দরের করুণ চরণ
সফল তপস্যা তব
জীর্ণতারে সমর্পিল রূপ অভিনব;মলিন দৈন্যের লজ্জা ঘুচাইয়া
নব ধারাজলে তারে স্নাত করি দিলে মুছাইয়া
কলঙ্কের গ্লানি;
দীপ্ততেজে নৈরাশ্যেরে হানি
উদ্বেল উৎসাহে
রিক্ত যত নদীপথ ভরি দিলে অমৃতপ্রবাহে।
জয় তব জয়
গুরুগুরু মেঘগর্জে ভরিয়া উঠিল বিশ্বময়।
আরো দেখুন
20
Verses
তোমার পতাকা যারে দাও, তারে
বহিবারে দাও শকতি।
তোমার সেবায়ে মহৎ প্রয়াস
সহিবারে দাও ভকতি।
আমি তাই চাই ভরিয়া পরান
দুঃখেরি সাথে দুঃখেরি ত্রাণ
তোমার হাতের বেদনার দান
এড়িয়ে চাহি না মুকতি।
দুখ হবে মোর মাথার মানিক
সাথে যদি দাও ভকতি।
যত দিতে চাও কাজ দিয়ো,যদি
তোমারে না দাও ভুলিতে--
অন্তর যদি জড়াতে না দাও
জালজঞ্জালগুলিতে।
বাঁধিয়ো আমায় যত খুশি ডোরে
মুক্ত রাখিয়ো তোমা-পানে মোরে,
ধুলায় রাখিয়ো পবিত্র ক'রে
তোমার চরণধূলিতে।
ভুলায় রাখিয়ো সংসারতলে,
তোমারে দিয়ো না ভুলিতে।
যে পথে ঘুরিতে দিয়েছ ঘুরিব,
যাই যেন তব চরণে।
সব শ্রম যেন বহি লয় মোরে
সকল-শ্রান্তি-হরণে।
দুর্গমপথ এ ভবগহন,
কত ত্যাগ শোক বিরহদহন--
জীবনে মরণ করিয়া বহন
প্রাণ পাই যেন মরণে।
সন্ধ্যাবেলায় লভি গো কুলায়
নিখিলশরণ চরণে।
আরো দেখুন
পদধ্বনি
Verses
আঁধারে প্রচ্ছন্ন ঘন বনে
আশঙ্কার পরশনে
হরিণের থরথর হৃৎপিণ্ড যেমন--
সেইমতো রাত্রি দ্বিপ্রহরে
শয্যা মোর ক্ষণতরে
সহসা কাঁপিল অকারণ।
পদধ্বনি, কার পদধ্বনি
শুনিনু তখনি।
মোর জন্মনক্ষত্রের অদৃশ্য জগতে
মোর ভাগ্য মোর তরে বার্তা লয়ে ফিরিছে কি পথে।
পদধ্বনি, কার পদধ্বনি।
অজানার যাত্রী কে গো। ভয়ে কেঁপে উঠিল ধরণী।
এই কি নির্মম সেই যে আপন চরণের তলে
পদে পদে চিরদিন
উদাসীন
পিছনের পথ মুছে চলে।
এ কি সেই নিত্যশিশু, কিছু নাহি চাহে--
নিজের খেলেনা চূর্ণ
ভাসাইছে অসম্পূর্ণ
খেলার প্রবাহে?
ভাঙিয়া স্বপ্নের ঘোর,
ছিঁড়ি মোর
শয্যায় বন্ধনমোহ, এ রাত্রিবেলায়
মোরে কি করিবে সঙ্গী প্রলয়ের ভাসান-খেলায়।
হোক তাই--
ভয় নাই, ভয় নাই,
এ খেলা খেলেছি বারম্বার
জীবনে আমার ।
জানি জানি-- ভাঙিয়া নূতন করে তোলা,
ভুলায়ে পূর্বের পথ অপূর্বের পথে দ্বার খোলা,
বাঁধন গিয়েছে যবে চুকে
তারি ছিন্ন রশিগুলি কুড়ায়ে কৌতুকে
বার বার গাঁথা হল দোলা।
নিয়ে যত মুহূর্তের ভোলা
চিরস্মরণের ধন
গোপনে হয়েছে আয়োজন।
পদধ্বনি, কার পদধ্বনি
চিরদিন শুনেছি এমনি
বারে বারে।
একি বাজে মৃত্যুসিন্ধুপারে।
একি মোর আপন বক্ষেতে।
ডাকে মোরে ক্ষণে ক্ষণে কিসের সংকেতে।
তবে কি হবেই যেতে।
সব বন্ধ করিব ছেদন?
ওগো কোন্ বন্ধু তুমি, কোন্ সঙ্গী দিতেছ বেদন
বিচ্ছেদের তীর হতে।
তরী কি ভাসাব স্রোতে।
হে বিরহী,
আমার অন্তরে দাও কহি
ডাকো মোরে কী খেলা খেলাতে
আতঙ্কিত নিশীথবেলাতে?
বারে বারে দিয়েছ নিঃসঙ্গ করি--
এ শূন্য প্রাণের পাত্র কোন্ সঙ্গসুধা দিয়ে ভরি
তুলে নেবে মিলন-উৎসবে।
সূর্যাস্তের পথ দিয়ে যবে
সন্ধ্যাতারা উঠে আসে নক্ষত্রসভায়,
প্রহর না যেতে যেতে
কী সংকেতে
সব সঙ্গ ফেলে রেখে অস্তপথে ফিরে চলে যায়।
সেও কি এমনি
শোনে পদধ্বনি।
তারে কি বিরহী
বলে কিছু দিগন্তের অন্তরালে রহি।
পদধ্বনি, কার পদধ্বনি।
দিনশেষে
কম্পিত বক্ষের মাঝে এসে
কী শব্দে ডাকিছে কোন্ অজানা রজনী।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.