তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি, ওই যে আসে, আসে, আসে। যুগে যুগে পলে পলে দিনরজনী সে যে আসে, আসে, আসে। গেয়েছি গান যখন যত আপন-মনে খ্যাপার মতো সকল সুরে বেজেছে তার আগমনী- সে যে আসে, আসে, আসে। কত কালের ফাগুন-দিনে বনের পথে সে যে আসে, আসে, আসে। কত শ্রাবণ অন্ধকারে মেঘের রথে সে যে আসে, আসে, আসে। দুখের পরে পরম দুখে, তারি চরণ বাজে বুকে, সুখে কখন্ বুলিয়ে সে দেয় পরশমণি। সে যে আসে, আসে, আসে।
দুঃখের আঁধার রাত্রি বারে বারে এসেছে আমার দ্বারে; একমাত্র অস্ত্র তার দেখেছিনু কষ্টের বিকৃত ভান, ত্রাসের বিকট ভঙ্গি যত অন্ধকার ছলনার ভূমিকা তাহার। যতবার ভয়ের মুখোশ তার করেছি বিশ্বাস ততবার হয়েছে অনর্থ পরাজয়। এই হার-জিত খেলা, জীবনের মিথ্যা এ কুহক শিশুকাল হতে বিজড়িত পদে পদে এই বিভীষিকা, দুঃখের পরিহাসে ভরা। ভয়ের বিচিত্র চলচ্ছবি-- মৃত্যুর নিপুণ শিল্প বিকীর্ণ আঁধারে।