আমি তোমার শ্যালী ক্ষুদ্রতমা আমার শক্তি ক্ষুদ্র অতি কোরো আমায় ক্ষমা। ইচ্ছে তোমার হেঁসেলঘরে ভোজের আলো জ্বালাই পাঠিয়ে দিলেম তাই কাঠকয়লা কেরোসিন ঘুঁটে দেশালাই। জমবে যখন ছাই তাহার জন্যে যে জিনিসটা চাই আমার মুখে পায় না শোভা গ্রাম্য তার ভাষাটা, দাদামশায় দিলেন লিখে, তাহারে কয় "ঝাঁটা'।
এ সংসারে একদিন নববধূবেশে তুমি যে আমার পাশে দাঁড়াইলে এসে, রাখিলে আমার হাতে কম্পমান হাত, সে কি অদৃষ্টের খেলা, সে কি অকস্মাৎ? শুধু এক মুহূর্তের এ নহে ঘটনা, অনাদিকালের এ আছিল মন্ত্রণা। দোঁহার মিলনে মোরা পূর্ণ হব দোঁহে, বহু যুগ আসিয়াছি এই আশা বহে। নিয়ে গেছ কতখানি মোর প্রাণ হতে, দিয়ে গেছ কতখানি এ জীবনস্রোতে! কত দিন কত রাত্রে কত লজ্জাভয়ে কত ক্ষতিলাভে কত জয়ে পরাজয়ে রচিতেছিলাম যাহা মোরা শ্রান্তিহারা সাঙ্গ কে করিবে তাহা মোরা দোঁহে ছাড়া?
আমার সুরের সাধন রইল পড়ে। চেয়ে চেয়ে কাটল বেলা কেমন করে। দেখি সকল অঙ্গ দিয়ে, কী যে দেখি বলব কী এ-- গানের মতো চোখে বাজে রূপের ঘোরে। সবুজ সুধা এই ধরণীর অঞ্জলিতে কেমন করে ওঠে ভরে আমার চিতে। আমার সকল ভাবনাগুলি ফুলের মতো নিল তুলি, আশ্বিনের ওই আঁচলখানি গেল ভরে।