গান মনে হল যেন পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ আসিতে তোমার দ্বারে, মরুতীর হতে সুধাশ্যামলিম পারে। পথ হতে আমি গাঁথিয়া এনেছি সিক্ত যূথীর মালা সকরুণ নিবেদনের গন্ধ-ঢালা, লজ্জা দিয়ো না তারে। সজল মেঘের ছায়া ঘনাইছে বনে বনে, পথ-হারানোর বাজিছে বেদনা সমীরণে। দূর হতে আমি দেখেছি তোমার ওই বাতায়নতলে নিভৃতে প্রদীপ জ্বলে-- আমার এ আঁখি উৎসুক পাখি ঝড়ের অন্ধকারে।
THOU OCEAN of things, they say, in thy dark depths there are pearls and gems without end. Many a diver learned in the sea is seeking for them. But I care not to join in their search. The light that flashes on your surface, the mystery that heaves on your bosom, the music that maddens your waves, and the dance that trips on your foam, are enough for me. If ever I am weary of them, I will plunge into your unfathomed bottom where there is death, or the treasure.
এমন দিনে তারে বলা যায়, এমন ঘনঘোর বরিষায়! এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরঝরে তপনহীন ঘন তমসায়। সে কথা শুনিবে না কেহ আর, নিভৃত নির্জন চারি ধার। দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখী, আকাশে জল ঝরে অনিবার। জগতে কেহ যেন নাহি আর। সমাজ সংসার মিছে সব, মিছে এ জীবনের কলরব। কেবল আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব। আঁধারে মিশে গেছে আর সব। বলিতে বাজিবে না নিজ কানে, চমক লাগিবে না নিজ প্রাণে। সে কথা আঁখিনীরে মিশিয়া যাবে ধীরে এ ভরা বাদলের মাঝখানে। সে কথা মিশে যাবে দুটি প্রাণে। তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কার নামাতে পারি যদি মনোভার? শ্রাবণবরিষনে একদা গৃহকোণে দু কথা বলি যদি কাছে তার তাহাতে আসে যাবে কিবা কার? আছে তো তার পরে বারো মাস, উঠিবে কত কথা কত হাস। আসিবে কত লোক কত-না দুখশোক, সে কথা কোন্খানে পাবে নাশ। জগৎ চলে যাবে বারো মাস। ব্যাকুল বেগে আজি বহে বায়, বিজুলি থেকে থেকে চমকায়। যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে সে কথা আজি যেন বলা যায় এমন ঘনঘোর বরিষায়।