×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
লেখন
লেখন
লেখন (86)
৮৬
৮৬
মোর কাগজের খেলার নৌকা ভেসে চলে যায় সোজা
বহিয়া আমার অকাজ দিনের অলস বেলার বোঝা॥
Rendition
Related Topics
শেষ হিসাব
Verses
সন্ধ্যা হয়ে এল, এবার
সময় হল হিসাব নেবার।
যে দেব্তারে গড়েছিলেম,
দ্বারে যাঁদের পড়েছিলেম,
আয়োজনটা করেছিলেম
জীবন দিয়ে চরণ সেবার--
তাঁদের মধ্যে আজ সায়াহ্নে
কে বা আছেন এবং কে নেই,
কেই বা বাকি কেই বা ফাঁকি,
ছুটি নেব সেইটে জেনেই।
নাই বা জানলি হায় রে মূর্খ!
কী হবে তোর হিসাব সূক্ষ্ম!
সন্ধ্যা এল, দোকান তোলো,
পারের নৌকা তৈরি হল--
যত পার ততই ভোলো
বিফল সুখের বিরাট দুঃখ।
জীবনখানা খুললে তোমার
শূন্য দেখি শেষের পাতা--
কী হবে ভাই, হিসেব নিয়ে,
তোমার নয়কো লাভের খাতা।
আপনি আঁধার ডাকছে তোরে,
ঢাকছে তোমায় দয়া ক'রে।
তুমি তবে কেনই জ্বাল
মিট্মিটে ওই দীপের আলো!
চক্ষু মুদে থাকাই ভালো
শ্রান্ত, পথের প্রান্তে প'ড়ে।
জানাজানির সময় গেছে,
বোঝাপড়া কর্ রে বন্ধ।
অন্ধকারের স্নিগ্ধ কোলে
থাক্ রে হয়ে বধির অন্ধ।
যদি তোমায় কেউ না রাখে,
সবাই যদি ছেড়েই থাকে--
জনশূন্য বিশাল ভবে
একলা এসে দাঁড়াই তবে,
তোমার বিশ্ব উদার রবে
হাজার সুরে তোমায় ডাকে।
আঁধার রাতে নির্নিমেষে
দেখতে দেখতে যাবে দেখা,
তুমি একা জগৎ মাঝে,
প্রাণের মাঝে আরেক একা।
ফুলের দিনে যে মঞ্জরী
ফলের দিনে যাক সে ঝরি।
মরিস নে আর মিথ্যে ভেবে,
বসন্তেরই অন্তে এবে
যারা যারা বিদায় নেবে
একে একে যাক রে সরি।
হোক রে তিক্ত মধুর কণ্ঠ,
হোক রে রিক্ত কল্পলতা--
তোমার থাকুক পরিপূর্ণ
একলা থাকার সার্থকতা।
আরো দেখুন
246
Verses
সেতারের তারে
ধানশি
মীড়ে মীড়ে উঠে
বাজিয়া।
গোধূলির রাগে
মানসী
সুরে যেন এল
সাজিয়া।
আরো দেখুন
বসন্ত
Verses
অযুত বৎসর আগে হে বসন্ত, প্রথম ফাল্গুনে
মত্ত কুতূহলী,
প্রথম যেদিন খুলি নন্দনের দক্ষিণ-দুয়ার
মর্তে এলে চলি,
অকস্মাৎ দাঁড়াইলে মানবের কুটিরপ্রাঙ্গণে
পীতাম্বর পরি,
উতলা উত্তরী হতে উড়াইয়া উন্মাদ পবনে
মন্দারমঞ্জরী,
দলে দলে নরনারী ছুটে এল গৃহদ্বার খুলি
লয়ে বীণা বেণু--
মাতিয়া পাগল নৃত্যে হাসিয়া করিল হানাহানি
ছুঁড়ি পুষ্পরেণু।
সখা, সেই অতিদূর সদ্যোজাত আদি মধুমাসে
তরুণ ধরায়
এনেছিলে যে কুসুম ডুবাইয়া তপ্ত কিরণের
স্বর্ণমদিরায়,
সেই পুরাতন সেই চিরন্তন অনন্ত প্রবীণ
নব পুষ্পরাজি
বর্ষে বর্ষে আনিয়াছ-- তাই লয়ে আজো পুনর্বার
সাজাইলে সাজি।
তাই সে পুষ্পে লিখা জগতের প্রাচীন দিনের
বিস্মৃত বারতা,
তাই তার গন্ধে ভাসে ক্লান্ত লুপ্ত লোকলোকান্তের
কান্ত মধুরতা।
তাই আজি প্রস্ফুটিত নিবিড় নিকুঞ্জবন হতে
উঠিছে উচ্ছ্বাসি
লক্ষ দিনযামিনীর যৌবনের বিচিত্র বেদনা,
অশ্রু গান হাসি।
যে মালা গেঁথেছি আজি তোমারে সঁপিতে উপহার
তারি দলে দলে
নামহারা নায়িকার পুরাতন আকাঙক্ষাকাহিনী
আঁকা অশ্রুজলে।
সযত্নসেচনসিক্ত নবোন্মুক্ত এই গোলাপের
রক্ত পত্রপুটে
কম্পিত কুণ্ঠিত কত অগণ্য চুম্বন-ইতিহাস
রহিয়াছে ফুটে।
আমার বসন্তরাতে চারি চক্ষে জেগে উঠেছিল
যে-কয়টি কথা,
তোমার কুসুমগুলি হে বসন্ত, সে গুপ্ত সংবাদ
নিয়ে গেল কোথা?
সে চম্পক, সে বকুল, সে চঞ্চল চকিত চামেলি
স্মিত শুভ্রমুখী,
তরুণী রজনীগন্ধা আগ্রহে উৎসুক-উন্নমিতা,
একান্ত কৌতুকী,
কয়েক বসন্তে তারা আমার যৌবনকাব্যগাথা
লয়েছিল পড়ি।
কণ্ঠে কণ্ঠে থাকি তারা শুনেছিল দুটি বক্ষোমাঝে
বাসনা-বাঁশরি।
ব্যর্থ জীবনের সে কয়খানি পরম অধ্যায়
ওগো মধুমাস,
তোমার কুসুমগন্ধে বর্ষে বর্ষে শূন্যে জলে স্থলে
হইবে প্রকাশ।
বকুলে চম্পকে তারা গাঁথা হয়ে নিত্য যাবে চলি
যুগে যুগান্তরে,
বসন্তে বসন্তে তারা কুঞ্জে কুঞ্জে উঠিবে আকুলি
কুহুকলস্বরে।
অমর বেদনা মোর হে বসন্ত, রহি গেল তব
মর্মরনিশ্বাসে--
উত্তপ্ত যৌবনমোহ রক্তরৌদ্রে রহিল রঞ্জিত
চৈত্রসন্ধ্যাকাশে।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.