আকাশে দুই হাতে প্রেম বিলায় ও কে? সে সুধা গড়িয়ে গেল লোকে লোকে। গাছেরা ভরে নিল সবুজ পাতায়, ধরণী ধরে নিল আপন মাথায়। ফুলেরা সকল গায়ে নিল মেখে। পাখিরা পাখায় তারে নিল এঁকে। ছেলেরা কুড়িয়ে নিল মায়ের বুকে, মায়েরা দেখে নিল ছেলের মুখে। সে যে ওই দুঃখশিখায় উঠল জ্বলে, সে যে ওই অশ্রুধারায় পড়ল গলে! সে যে ওই বিদীর্ণ বীর-হৃদয় হতে বহিল মরণ-রূপী জীবনস্রোতে। সে যে ওই ভাঙাগড়ার তালে তালে নেচে যায় দেশে দেশে কালে কালে।
একলা আমি বাহির হলেম তোমার অভিসারে, সাথে সাথে কে চলে মোর নীরব অন্ধকারে। ছাড়াতে চাই অনেক করে ঘুরে চলি, যাই যে সরে, মনে করি আপদ গেছে, আবার দেখি তারে। ধরণী সে কাঁপিয়ে চলে-- বিষম চঞ্চলতা। সকল কথার মধ্যে সে চায় কইতে আপন কথা। সে যে আমার আমি, প্রভু, লজ্জা তাহার নাই যে কভু, তারে নিয়ে কোন্ লাজে বা যাব তোমার দ্বারে।