এ কথা মানিব আমি, এক হতে দুই কেমনে যে হতে পারে জানি না কিছুই। কেমনে যে কিছু হয়, কেহ হয় কেহ, কিছু থাকে কোনোরূপে, কারে বলে দেহ, কারে বলে আত্মা মন, বুঝিতে না পেরে চিরকাল নিরখিব বিশ্বজগতেরে নিস্তব্ধ নির্বাক্ চিত্তে। বাহিরে যাহার কিছুতে নারিব যেতে আদি অন্ত তার, অর্থ তার, তত্ত্ব তার, বুঝিব কেমনে নিমেষের তরে? এই শুধু জানি মনে সুন্দর সে, মহান সে, মহাভয়ংকর, বিচিত্র সে, অজ্ঞেয় সে, মম মনোহর। ইহা জানি, কিছুই না জানিয়া অজ্ঞাতে নিখিলের চিত্তস্রোত ধাইছে তোমাতে।
"হায় গগন নহিলে তোমারে ধরিবে কে বা ওগো তপন তোমার স্বপন দেখি যে,করিতে পারি নে সেবা।' শিশির কহিল কাঁদিয়া, "তোমারে রাখি যে বাঁধিয়া হে রবি,এমন নাহিকো আমার বল। তোমা বিনা তাই ক্ষুদ্র জীবন কেবলি অশ্রুজল।'
"আমি বিপুল কিরণে ভুবন করি যে আলো, তবু শিশিরটুকুরে ধরা দিতে পারি বাসিতে পারি যে ভালো।' শিশিরের বুকে আসিয়া কহিল তপন হাসিয়া, "ছোটো হয়ে আমি রহিব তোমারে ভরি, তোমার ক্ষুদ্র জীবন গড়িব হাসির মতন করি।'