পাহাড়ের নীলে আর দিগন্তের নীলে শূন্যে আর ধরাতলে মন্ত্র বাঁধে ছন্দে আর মিলে। বনেরে করায় স্নান শরতের রৌদ্রের সোনালি। হলদে ফুলের গুচ্ছে মধু খোঁজে বেগুনি মৌমাছি। মাঝখানে আমি আছি, চৌদিকে আকাশ তাই দিতেছে নিঃশব্দ করতালি। আমার আনন্দে আজ একাকার ধ্বনি আর রঙ, জানে তা কি এ কালিম্পঙ। ভান্ডারে সঞ্চিত করে পর্বতশিখর অন্তহীন যুগ-যুগান্তর। আমার একটি দিন বরমাল্য পরাইল তারে, এ শুভ সংবাদ জানাবারে অন্তরীক্ষে দুর হতে দুরে অনাহত সুরে প্রভাতে সোনার ঘণ্টা বাজে ঢঙ ঢঙ, শুনিছে কি এ কালিম্পঙ।
আমি তোমার শ্যালী ক্ষুদ্রতমা আমার শক্তি ক্ষুদ্র অতি কোরো আমায় ক্ষমা। ইচ্ছে তোমার হেঁসেলঘরে ভোজের আলো জ্বালাই পাঠিয়ে দিলেম তাই কাঠকয়লা কেরোসিন ঘুঁটে দেশালাই। জমবে যখন ছাই তাহার জন্যে যে জিনিসটা চাই আমার মুখে পায় না শোভা গ্রাম্য তার ভাষাটা, দাদামশায় দিলেন লিখে, তাহারে কয় "ঝাঁটা'।