কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি যাব অকারণে ভেসে কেবল ভেসে, ত্রিভুবনে জানবে না কেউ আমরা তীর্থগামী কোথায় যেতেছি কোন্ দেশে সে কোন্ দেশে। কূলহারা সেই সমুদ্র-মাঝখানে শোনাব গান একলা তোমার কানে, ঢেউয়ের মতন ভাষা-বাঁধন-হারা আমার সেই রাগিণী শুনবে নীরব হেসে। আজো সময় হয় নি কি তার, কাজ কি আছে বাকি। ওগো ওই-যে সন্ধ্যা নামে সাগরতীরে। মলিন আলোয় পাখা মেলে সিন্ধুপারের পাখি আপন কুলায়-মাঝে সবাই এল ফিরে। কখন তুমি আসবে ঘাটের 'পরে বাঁধনটুকু কেটে দেবার তরে। অস্তরবির শেষ আলোটির মতো তরী নিশীথমাঝে যাবে নিরুদ্দেশে।
দোতলায় ধুপ্ধাপ্ হেমবাবু দেয় লাফ, মা বলেন, একি খেলা ভূতের নাচন নেচে? নাকি সুরে বেলা হেমা, 'চলতে যে পারিনে, মা, সকালে সর্দি লেগে যেমনি উঠেছি হেঁচে অমনি যে খচ্ করে পা আমার মচ্কেছে।'