শীতের রোদ্দুর। সোনা-মেশা সবুজের ঢেউ স্তম্ভিত হয়ে আছে সেগুন বনে। বেগনি-ছায়ার ছোঁওয়া-লাগা ঝুরি-নামা বৃদ্ধ বট ডাল মেলেছে রাস্তার ওপার পর্যন্ত। ফলসাগাছের ঝরা পাতা হঠাৎ হাওয়ায় চমকে বেড়ায় উড়ে ধুলোর সাঙাত হয়ে। কাজ-ভোলা এই দিন উধাও বলাকার মতো লীন হয়ে চলেছে নিঃসীম নীলিমায়। ঝাউগাছের মর্মরধ্বনিতে মিশে মনের মধ্যে এই কথাটি উঠছে বেজে, "আমি আছি।" কুয়োতলার কাছে সামান্য ঐ আমের গাছ; সারা বছর ও থাকে আত্মবিস্মৃত, বনের সাধারণ সবুজের আবরণে ও থাকে ঢাকা। এমন সময় মাঘের শেষে হঠাৎ মাটির নিচে শিকড়ে শিকড়ে তার শিহর লাগে, শাখায় শাখায় মুকুলিত হয়ে ওঠে বাণী-- "আমি আছি," চন্দ্রসূর্যের আলো আপন ভাষায় স্বীকার করে তার সেই ভাষা। অলস মনের শিয়রে দাঁড়িয়ে হাসেন অন্তর্যামী, হঠাৎ দেন ঠেকিয়ে সোনার কাঠি প্রিয়ার মুগ্ধ চোখের দৃষ্টি দিয়ে, কবির গানের সুর দিয়ে, তখন যে-আমি ধূলিধূসর সামান্য দিনগুলির মধ্যে মিলিয়ে ছিল, সে দেখা দেয় এক নিমেষের অসমান্য আলোকে। সে-সব দুর্মূল্য নিমেষ কোনো রত্নভাণ্ডারে থেকে যায় কি না জানিনে; এইটুকু জানি-- তারা এসেছে আমার আত্মবিস্মৃতির মধ্যে, জাগিয়েছে আমার মর্মে বিশ্বমর্মের নিত্যকালের সেই বাণী "আমি আছি।"
I HAVE PLAYED my flute along the path, I have sung at thy gate. I have offered my tunes before thy temple's outer screen decorated with endless forms and colours. Today have come to me from everywhere the words that speak of the End. They ask me to break the bond of the road, to come to the farther shore of the pilgrimage by crossing the endless refrain of meetings and partings.
অজস্র দিনের আলো, জানি, একদিন দু চক্ষুরে দিয়েছিলে ঋণ। ফিরায়ে নেবার দাবি জানায়েছ আজ তুমি, মহারাজ। শোধ করে দিতে হবে জানি, তবু কেন সন্ধ্যাদীপে ফেল ছায়াখানি। রচিলে যে আলো দিয়ে তব বিশ্বতল আমি সেথা অতিথি কেবল। হেথা হোথা যদি পড়ে থাকে কোনো ক্ষুদ্র ফাঁকে নাই হল পুরা সেটুকু টুকুরা-- রেখে যেয়ো ফেলে অবহেলে, যেথা তব রথ শেষ চিহ্ন রেখে যায় অন্তিম ধুলায় সেথায় রচিতে দাও আমার জগৎ। অল্প কিছু আলো থাক্, অল্প কিছু ছায়া আর কিছু মায়া। ছায়াপথে লুপ্ত আলোকের পিছু হয়তো কুড়ায়ে পাবে কিছু-- কণামাত্র লেশ তোমার ঋণের অবশেষ।