তোমারে শতধা করি ক্ষুদ্র করি দিয়া মাটিতে লুটায় যারা তৃপ্ত-সুপ্ত হিয়া সমস্ত ধরণী আজি অবহেলাভরে পা রেখেছে তাহাদের মাথার উপরে। মনুষ্যত্ব তুচ্ছ করি যারা সারাবেলা তোমারে লইয়া শুধু করে পূজা-খেলা মুগ্ধভাবভোগে, সেই বৃদ্ধ শিশুদল সমস্ত বিশ্বের আজি খেলার পুত্তল। তোমারে আপন-সাথে করিয়া সমান যে খর্ব বামনগণ করে অবমান কে তাদের দিবে মান! নিজ মন্ত্রস্বরে তোমারেই প্রাণ দিতে যারা স্পর্ধা করে কে তাদের দিবে প্রাণ! তোমারেও যারা ভাগ করে, কে তাদের দিবে ঐক্যধারা!
সন্ধ্যাসূর্যের প্রতি আমার এ গান তুমি যাও সাথে করে নূতন সাগরতীরে দিবসের পানে। সায়াহ্নের কূল হতে যদি ঘুমঘোরে এ গান উষার কূলে পশে কারো কানে, সারা রাত্রি নিশীথের সাগর বাহিয়া স্বপনের পরপারে যদি ভেসে যায়, প্রভাত-পাখিরা যবি উঠিবে গাহিয়া আমার এ গান তারা যদি খুঁজে পায়। গোধূলির তীরে বসে কেঁদেছে যে জন, ফেলেছে আকাশে চেয়ে অশ্রুজল কত, তার অশ্রু পড়িবে কি হইয়া নূতন নবপ্রভাতের মাঝে শিশিরের মতো। সায়াহ্নের কুঁড়িগুলি আপনা টুটিয়া প্রভাতে কি ফুল হয়ে উঠে না ফুটিয়া।