আমি তোমার শ্যালী ক্ষুদ্রতমা আমার শক্তি ক্ষুদ্র অতি কোরো আমায় ক্ষমা। ইচ্ছে তোমার হেঁসেলঘরে ভোজের আলো জ্বালাই পাঠিয়ে দিলেম তাই কাঠকয়লা কেরোসিন ঘুঁটে দেশালাই। জমবে যখন ছাই তাহার জন্যে যে জিনিসটা চাই আমার মুখে পায় না শোভা গ্রাম্য তার ভাষাটা, দাদামশায় দিলেন লিখে, তাহারে কয় "ঝাঁটা'।
গতি আমার এসে ঠেকে যেথায় শেষে অশেষ সেথা খোলে আপন দ্বার। যেথা আমার গান হয় গো অবসান সেথা গানের নীরব পারাবার। যেথা আমার আঁখি আঁধারে যায় ঢাকি অলখ-লোকের আলোক সেথা জ্বলে। বাইরে কুসুম ফুটে ধুলায় পড়ে টুটে, অন্তরে তো অমৃত-ফল ফলে। কর্ম বৃহৎ হয়ে চলে যখন বয়ে তখন সে পায় বৃহৎ অবকাশ। যখন আমার আমি ফুরায়ে যায় থামি তখন আমার তোমাতে প্রকাশ।