যে ভাবে রমণীরূপে আপন মাধুরী আপনি বিশ্বের নাথ করিছেন চুরি যে ভাবে সুন্দর তিনি সর্ব চরাচরে, যে ভাবে আনন্দ তাঁর প্রেমে খেলা করে, যে ভাবে লতার ফুল, নদীতে লহরী, যে ভাবে বিরাজে লক্ষ্মী বিশ্বের ঈশ্বরী, যে ভাবে নবীন মেঘ বৃষ্টি করে দান, তটিনী ধরারে স্তন্য করাইছে পান, যে ভাবে পরম-এক আনন্দে উৎসুক আপনারে দুই করি লভিছেন সুখ, দুইয়ের মিলনাঘাতে বিচিত্র বেদনা নিত্য বর্ণ গন্ধ গীত করিছে রচনা, হে রমণী, ক্ষণকাল আসি মোর পাশে চিত্ত ভরি দিলে সেই রহস্য আভাসে।
আমার সকল অঙ্গে তোমার পরশ লগ্ন হয়ে রহিয়াছে রজনী-দিবস প্রাণেশ্বর, এই কথা নিত্য মনে আনি রাখিব পবিত্র করি মোর তনুখানি। মনে তুমি বিরাজিছ, হে পরম জ্ঞান, এই কথা সদা স্মরি মোর সর্বধ্যান সর্বচিন্তা হতে আমি সর্বচেষ্টা করি সর্বমিথ্যা রাখি দিব দূরে পরিহরি। হৃদয়ে রয়েছে তব অচল আসন এই কথা মনে রেখে করিব শাসন সকল কুটিল দ্বেষ, সর্ব অমঙ্গল-- প্রেমেরে রাখিব করি প্রস্ফুট নির্মল। সর্ব কর্মে তব শক্তি এই জেনে সার করিব সকল কর্মে তোমারে প্রচার।