ওর মানের এ বাঁধ টুটবে না কি টুটবে না। ওর মনের বেদন থাকবে মনে, প্রাণের কথা ফুটবে না ?। কঠিন পাষাণ বুকে লয়ে নাই রহিল অটল হয়ে প্রেমেতে ওই পাথর ক্ষ’য়ে চোখের জল কি ছুটবে না ?।
কাছে যবে ছিল পাশে হল না যাওয়া, চলে যবে গেল তারি লাগিল হাওয়া ॥ যবে ঘাটে ছিল নেয়ে তারে দেখি নাই চেয়ে, দূর হতে শুনি স্রোতে তরণী-বাওয়া ॥ যেখানে হল না খেলা সে খেলাঘরে আজি নিশিদিন মন কেমন করে। হারানো দিনের ভাষা স্বপ্নে আজি বাঁধে বাসা, আজ শুধু আঁখিজলে পিছনে চাওয়া ॥
মোদের কিছু নাই রে নাই, আমরা ঘরে বাইরে গাই-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না। যতই দিবস যায় রে যায় গাই রে সুখে হায় রে হায়-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না। যারা সোনার চোরাবালির 'পরে পাকা ঘরের-ভিত্তি গড়ে তাদের সামনে মোরা গান গেয়ে যাই-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥ যখন থেকে থেকে গাঁঠের পানে গাঁঠকাটারা দৃষ্টি হানে তখন শূন্যঝুলি দেখায়ে গাই-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥ যখন দ্বারে আসে মরণবুড়ি মুখে তাহার বাজাই তুড়ি, তখন তান দিয়ে গান জুড়ি রে ভাই-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না। এ যে বসন্তরাজ এসেছে আজ, বাইরে তাহার উজ্জ্বল সাজ, ওরে, অন্তরে তার বৈরাগী গায়-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না। সে যে উৎসবদিন চুকিয়ে দিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে, শুকিয়ে দিয়ে, দুই রিক্ত হাতে তাল দিয়ে গায়-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥