ওগো কে যায় বাঁশরি বাজায়ে। আমার ঘরে কেহ নাই যে। তারে মনে পড়ে যারে চাই যে॥ তার আকুল পরান বিরহের গান বাঁশি বুঝি গেল জানায়ে। আমি আমার কথা তারে জানাব কী করে, প্রাণ কাঁদে মোর তাই যে॥ কুসুমের মালা গাঁথা হল না, ধূলিতে পড়ে শুকায় রে, নিশি হয় ভোর, রজনীর চাঁদ মলিন মুখ লুকায় রে। সারা বিভাবরী কার পূজা করি যৌবন-ডালা সাজায়ে, ওই বাঁশি-স্বরে হায় প্রাণ নিয়ে যায়, আমি কেন থাকি হায় রে॥
মানিক কহিল, 'পিঠ পেতে দিই দাঁড়াও। আম দুটো ঝোলে, ওর দিকে হাত বাড়াও। উপরের ডালে সবুজে ও লালে ভরে আছে, কষে নাড়াও। নিচে নেমে এসে ছুরি দিয়ে শেষে ব'সে ব'সে খোসা ছাড়াও। যদি আসে মালি চোখে দিয়ে বালি পারো যদি তারে তাড়াও। বাকি কাজটার মোর 'পরে ভার, পাবে না শাঁসের সাড়াও। আঁঠি যদি থাকে দিয়ো মালিটাকে, মাড়াব না তার পাড়াও। পিসিমা রাগিলে তাঁর চড়ে কিলে বাঁদরামি-ভূত তাড়াও।'