×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
Fireflies
26
26 (the child ever dwells)
THE CHILD ever dwells in the mystery of ageless time,
unobscured by the dust of history.
Rendition
Related Topics
21
Verses
চিরদিন আছি আমি অকেজোর দলে;
বাজে লেখা, বাজে পড়া, দিন কাটে মিথ্যা বাজে ছলে।
যে গুণী কাটাতে পারে বেলা তার বিনা আবশ্যকে
তারে "এসো এসো" ব'লে যত্ন ক'রে বসাই বৈঠকে।
কেজো লোকদের করি ভয়,
কব্জিতে ঘড়ি বেঁধে শক্ত করে বেঁধেছে সময়--
বাজে খরচের তরে উদ্বৃত্ত কিছুই নেই হাতে,
আমাদের মতো কুঁড়ে লজ্জা পায় তাদের সাক্ষাতে।
সময় করিতে নষ্ট আমরা ওস্তাদ,
কাজের করিতে ক্ষতি নানামতো পেতে রাখি ফাঁদ।
আমার শরীরটা যে ব্যস্তদের তফাতে ভাগায়--
আপনার শক্তি নেই, পরদেহে মাশুল লাগায়।
সরোজদাদার দিকে চাই--
সব তাতে রাজি দেখি, কাজকর্ম যেন কিছু নাই,
সময়ের ভাণ্ডারেতে দেওয়া নেই চাবি,
আমার মতন এই অক্ষমের দাবি
মেটাবার আছে তার অক্ষুণ্ন উদার অবসর,
দিতে পারে অকৃপণ অক্লান্ত নির্ভর।
দ্বিপ্রহর রাত্রিবেলা স্তিমিত আলোকে
সহসা তাহার মূর্তি পড়ে যবে চোখে
মনে ভাবি, আশ্বাসের তরী বেয়ে দূত কে পাঠালে,
দুর্যোগের দুঃস্বপ্ন কাটালে।
দায়হীন মানুষের অভাবিত এই আবির্ভাব
দয়াহীন অদৃষ্টের বন্দীশালে মহামূল্য লাভ।
আরো দেখুন
বালিকা বধূ
Verses
ওগো বর, ওগো বঁধু,
এই-যে নবীনা বুদ্ধিবিহীনা
এ তব বালিকা বধূ।
তোমার উদার প্রাসাদে একেলা
কত খেলা নিয়ে কাটায় যে বেলা,
তুমি কাছে এলে ভাবে তুমি তার খেলিবার ধন শুধু,
ওগো বর, ওগো বঁধু।
জানে না করিতে সাজ
কেশ বেশ তার হলে একাকার
মনে নাহি মানে লাজ।
দিনে শতবার ভাঙিয়া গড়িয়া
ধুলা দিয়ে ঘর রচনা করিয়া
ভাবে মনে মনে সাধিছে আপন ঘরকরণের কাজ--
জানে না করিতে সাজ।
কহে এরে গুরুজনে,
"ও যে তোর পতি, ও তোর দেবতা'--
ভীত হয়ে তাহা শোনে।
কেমন করিয়া পূজিবে তোমায়
কোনোমতে তাহা ভাবিয়া না পায়,
খেলা ফেলি কভু মনে পড়ে তার "পালিব পরানপণে
যাহা কহে গুরুজনে'।
বাসকশয়ন'পরে
তোমার বাহুতে বাঁধা রহিলেও
অচেতন ঘুমভরে।
সাড়া নাহি দেয় তোমার কথায়,
কত শুভখণ বৃথা চলি যায়,
যে হার তাহারে পরালে সে হার কোথায় খসিয়া পড়ে
বাসকশয়ন'পরে।
শুধু দুর্দিনে ঝড়ে--
দশ দিক ত্রাসে আঁধারিয়া আসে
ধরাতলে অম্বরে--
তখন নয়নে ঘুম নাই আর,
খেলাধুলা কোথা পড়ে থাকে তার,
তোমারে সবলে রহে আঁকড়িয়া--হিয়া কাঁপে থরথরে
দুঃখদিনের ঝড়ে।
মোরা মনে করি ভয়
তোমার চরণে অবোধজনের
অপরাধ পাছে হয়।
তুমি আপনার মনে মনে হাস,
এই দেখিতেই বুঝি ভালোবাস,
খেলাঘর-দ্বারে দাঁড়াইয়া আড়ে কী যে পাও পরিচয়।
মোরা মিছে করি ভয়।
তুমি বুঝিয়াছ মনে,
একদিন এর খেলা ঘুচে যাবে
ওই তব শ্রীচরণে।
সাজিয়া যতনে তোমারি লাগিয়া
বাতায়নতলে রহিবে জাগিয়া,
শতযুগ করি মানিবে তখন ক্ষণেক অদর্শনে,
তুমি বুঝিয়াছ মনে।
ওগো বর, ওগো বঁধু,
জান জান তুমি--ধুলায় বসিয়া
এ বালা তোমারি বধূ।
রতন-আসন তুমি এরি তরে
রেখেছ সাজায়ে নির্জন ঘরে,
সোনার পাত্রে ভরিয়া রেখেছ নন্দনবনমধু--
ওগো বর, ওগো বঁধু।
আরো দেখুন
21
Verses
ঘাটে বসে আছি আনমনা,
যেতেছে বহিয়া সুসময়।
এ বাতাসে তরী ভাসাব না
তোমা-পানে যদি নাহি বয়।
দিন যায় ওগো দিন যায়,
দিনমণি যায় অস্তে।
নাহি হেরি বাট, দূরতীরে মাঠ
ধূসর গোধূলিধূলিময়।
ঘরের ঠিকানা হল না গো,
মন করে তবু যাই-যাই।
ধ্রুবতারা তুমি যেথা জাগ'
সে দিকের পথ চিনি নাই।
এত দিন তরী বাহিলাম,
বাহিলাম তরী যে পথে,
শতবার তরী ডুবুডুবু করি
সে পথে ভরসা নাহি পাই।
তীর-সাথে হেরো শত ডোরে
বাঁধা আছে মোর তরীখান।
রশি খুলে দেবে কবে মোরে,
ভাসিতে পারিলে বাঁচে প্রাণ।
কোথা বুক-জোড়া খোলা হাওয়া,
সাগরের খোলা হাওয়া কই!
কোথা মহাগান ভরি দিবে কান,
কোথা সাগরের মহাগান!
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.