তিন বছরের বিরহিণী জানলাখানি ধরে কোন্ অলক্ষ্য তারার পানে তাকাও অমন করে। অতীত কালের বোঝার তলায় আমরা চাপা থাকি, ভাবী কালের প্রদোষ-আলোয় মগ্ন তোমার আঁখি। তাই তোমার ওই কাঁদন-হাসির সবটা বুঝি না যে, স্বপন দেখে অনাগত তোমার প্রাণের মাঝে। কোন্ সাগরের তীর দেখেছ জানে না তো কেউ, হাসির আভায় নাচে সে কোন্ সুদূর অশ্রু-ঢেউ। সেখানে কোন্ রাজপুত্তুর চিরদিনের দেশে তোমার লাগি সাজতে গেছে প্রতিদিনের বেশে। সেখানে সে বাজায় বাঁশি রূপকথারই ছায়ে, সেই রাগিণীর তালে তোমার নাচন লাগে গায়ে। আপনি তুমি জানো না তো আছ কাহার আশায়, অনামারে ডাক দিয়েছ চোখের নীরব ভাষায়। হয়তো সে কোন্ সকালবেলা শিশির-ঝলা পথে জাগরণের কেতন তুলে আসবে সোনার রথে, কিম্বা পূর্ণ চাঁদের লগ্নে, বৃহস্পতির দশায়-- দুঃখ আমার, আর সে যে হোক, নয় সে দাদামশায়।