গান মনে হল যেন পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ আসিতে তোমার দ্বারে, মরুতীর হতে সুধাশ্যামলিম পারে। পথ হতে আমি গাঁথিয়া এনেছি সিক্ত যূথীর মালা সকরুণ নিবেদনের গন্ধ-ঢালা, লজ্জা দিয়ো না তারে। সজল মেঘের ছায়া ঘনাইছে বনে বনে, পথ-হারানোর বাজিছে বেদনা সমীরণে। দূর হতে আমি দেখেছি তোমার ওই বাতায়নতলে নিভৃতে প্রদীপ জ্বলে-- আমার এ আঁখি উৎসুক পাখি ঝড়ের অন্ধকারে।
তুমি যে তারে দেখ নি চেয়ে জানিত সে তা মনে, -- ব্যথার ছায়া পড়িত ছেয়ে কালো চোখের কোণে। জীবনশিখা নিবিল তার, ডুবিল তারি সাথে অবমানিত দুঃখভার অবহেলার রাতে। দীপাবলীর থালাতে নাই তাহার ম্লান হিয়া, তারায় তারি আলোক তাই উঠিল উজলিয়া। স্বাগতবাণী ছিল সে মেলি ভাষাবিহীন মুখে, বহুজনের বাণীরে ঠেলি বাজে কি তব বুকে। নিকটে তব এসেছিল যে, সে কথা বুঝাবারে অসীম দূরে গিয়েছে ও-যে শূন্যে খুঁজাবারে। সেখানে গিয়ে করেছে চুপ, ভিক্ষা গেল থামি, তাই কি তার সত্যরূপ হৃদয়ে এল নামি।