আরোগ্যশালার রাজকবি সুধাকান্ত আঁকে বসি প্রত্যহের তুচ্ছতার ছবি। মনে আছে একমাত্র আশা বুদ্বুদের ইতিহাসে সুদীর্ঘকালের নেই ভাষা। বাহিরে চলেছে দূরে বিরাটের প্রলয়ের পালা অকিঞ্চিৎকরের স্তূপ জমাইছে এ আরোগ্যশালা। লিখিবার বাণী কোথা যে দিকেই দু চক্ষু বুলাই অর্থহীন ছড়া কেটে কোনোমতে নিজেরে ভুলাই। ধাক্কা তারে দেয় পিছে ক্ষ্যাপা ঊনপঞ্চাশ বায়ু এ বেলা ও বেলা তার আয়ু। পোষাকি যে সাজে মাথা তুলে বসি সভামাঝে, সে আমার রঙ মাজা খোলসগুলোয় ঢিল লেগে তারা আজ খসেছে ধুলোয়, সুধাকান্ত নেপথ্যেই লোক করে জড়ো, পাঁচ জনে খুশি হয় বড়ো যত তারা বলে বাহা-বাহা কবিবর ঝাঁট দিয়ে আনে যাহা তাহা।
আছে, আছে স্থান! একা তুমি, তোমার শুধু একটি আঁটি ধান। নাহয় হবে, ঘেঁষাঘেঁষি, এমন কিছু নয় সে বেশি, নাহয় কিছু ভারী হবে আমার তরীখান-- তাই বলে কি ফিরবে তুমি আছে, আছে স্থান! এসো, এসো নায়ে! ধুলা যদি থাকে কিছু থাক্-না ধূলা পায়ে। তনু তোমার তনুলতা, চোখের কোণে চঞ্চলতা, সজলনীল-জলদ-বরন বসনখানি গায়ে-- তোমার তরে হবে গো ঠাঁই-- এসো এসো নায়ে। যাত্রী আছে নানা, নানা ঘাটে যাবে তারা কেউ কারো নয় জানা। তুমিও গো ক্ষণেক-তরে বসবে আমার তরী-'পরে, যাত্রা যখন ফুরিয়ে যাবে, মান্বে না মোর মানা-- এলে যদি তুমিও এসো, যাত্রী আছে নানা। কোথা তোমার স্থান? কোন্ গোলাতে রাখতে যাবে একটি আঁটি ধান? বলতে যদি না চাও তবে শুনে আমার কী ফল হবে, ভাবব ব'সে খেয়া যখন করব অবসান-- কোন্ পাড়াতে যাবে তুমি, কোথা তোমার স্থান?