গতি আমার এসে ঠেকে যেথায় শেষে অশেষ সেথা খোলে আপন দ্বার। যেথা আমার গান হয় গো অবসান সেথা গানের নীরব পারাবার। যেথা আমার আঁখি আঁধারে যায় ঢাকি অলখ-লোকের আলোক সেথা জ্বলে। বাইরে কুসুম ফুটে ধুলায় পড়ে টুটে, অন্তরে তো অমৃত-ফল ফলে। কর্ম বৃহৎ হয়ে চলে যখন বয়ে তখন সে পায় বৃহৎ অবকাশ। যখন আমার আমি ফুরায়ে যায় থামি তখন আমার তোমাতে প্রকাশ।
অসীম ধন তো আছে তোমার তাহে সাধ না মেটে। নিতে চাও তা আমার হাতে কণায় কণায় বেঁটে। দিয়ে তোমার রত্নমণি আমায় করলে ধনী, এখন দ্বারে এসে ডাক, রয়েছি দ্বার এঁটে। আমায় তুমি কর দাতা আপনি ভিক্ষু হবে, বিশ্বভুবন মাতল যে তাই হাসির কলরবে। তুমি রইবে না ওই রথে, নামবে ধুলাপথে, যুগযুগান্ত আমার সাথে চলবে হেঁটে হেঁটে।