কত লক্ষ বরষের তপস্যার ফলে ধরণীর তলে ফুটিয়াছে আজি এ মাধবী। এ আনন্দচ্ছবি যুগে যুগে ঢাকা ছিল অলক্ষ্যের বক্ষের আঁচলে। সেইমতো আমার স্বপনে কোনো দূর যুগান্তরে বসন্তকাননে কোনো এক কোণে একবেলাকার মুখে একটুকু হাসি উঠিবে বিকাশি-- এই আশা গভীর গোপনে আছে মোর মনে।
কত-না তুষারপুঞ্জ আছে সুপ্ত হয়ে অগ্রভেদী হিমাদ্রির সুদূর আলয়ে পাষাণপ্রাচীর-মাঝে। হে সিন্ধু মহান, তুমি তো তাদের কারে কর না আহ্বান আপন অতল হতে। আপনার মাঝে আছে তারা অবরুদ্ধ, কানে নাহি বাজে বিশ্বের সংগীত। প্রভাতের রৌদ্রকরে যে তুষার বয়ে যায়, নদী হয়ে ঝরে, বন্ধ টুটি ছুটি চলে,হে সিন্ধু মহান, সেও তো শোনে নি কভু তোমার আহ্বান। সে সুদূর গঙ্গোত্রীর শিখরচূড়ায় তোমার গম্ভীর গান কে শুনিতে পায়! আপন স্রোতের বেগে কী গভীর টানে তোমারে সে খুঁজে পায় সেই তাহা জানে।