×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
লেখন
লেখন
লেখন (162)
১৬২
১৬২
ফুলের লাগি তাকায়ে ছিলি শীতে
ফলের আশা ওরে!
ফুটিল ফুল ফাগুন-রজনীতে,
বিফলে গেল ঝরে॥
Rendition
Related Topics
ভর্ৎসনা
Verses
মিথ্যা আমায় কেন শরম দিলে
চোখের চাওয়া নীরব তিরস্কারে!
আমি তোমার পাড়ার প্রান্ত দিয়ে
চলেছিলেম আপন গৃহদ্বারে
যেথা আমার বাঁধা ঘাটের কাছে
দুটি চাঁপায় ছায়া করে আছে,
জামের শাখা ফলে-আঁধার-করা
স্বচ্ছগভীর পদ্মদিঘির ধারে।
তুমি আমায় কেন শরম দিলে
চোখের চাওয়া নীরব তিরস্কারে!
আজ তো আমি মাটির পানে চেয়ে
দীনবেশে যাই নি তোমার ঘরে।
অতিথ হয়ে দিই নি দ্বারে সাড়া,
ভিক্ষাপাত্র নিই নি কাতর-করে।
আমি আমার পথে যেতে যেতে
তোমার ঘরের দ্বারের বাহিরেতে
ঘনশ্যামল তমাল-তরুমূলে
দাঁড়িয়েছি এই দণ্ড-দুয়ের তরে।
নতশিরে দুখানি হাত জুড়ি
দীনবেশে যাই নি তোমার ঘরে।
আমি তোমার ফুল্ল পুষ্পবনে
তুলি নাই তো যূথীর একটি দল।
আমি তোমার ফলের শাখা হতে
ক্ষুধাভরে ছিঁড়ি নাই তো ফল।
আছি শুধু পথের প্রান্তদেশে
দাঁড়ায় যেথা সকল পান্থ এসে,
নিয়েছি এই শুধু গাছের ছায়া--
পেয়েছি এই তরুণ তৃণতল।
আমি তোমার ফুল্ল পুষ্পবনে
তুলি নাই তো যূথীর একটি দল।
শ্রান্ত বটে আছে চরণ মম,
পথের পঙ্ক লেগেছে দুই পায়।
আষাঢ়-মেঘে হঠাৎ এল ধারা
আকাশ-ভাঙা বিপুল বরষায়।
ঝোড়ো হাওয়ার এলোমেলো তালে
উঠল নৃত্য বাঁশের ডালে ডালে,
ছুটল বেগে ঘন মেঘের শ্রেণী
ভগ্নরণে ছিন্নকেতুর প্রায়।
শ্রান্ত বটে আছে চরণ মম,
পথের পঙ্ক লেগেছে দুই পায়।
কেমন করে জানব মনে আমি
কী যে আমায় ভাবলে মনে মনে।
কাহার লাগি একলা ছিলে বসে
মুক্তকেশে আপন বাতায়নে।
তড়িৎশিখা ক্ষণিক দীপ্তালোকে
হানতেছিল চমক তোমার চোখে,
জানত কে বা দেখতে পাবে তুমি
আছি আমি কোথায় যে কোন্ কোণে।
কেমন করে জানব মনে আমি
আমায় কী যে ভাবলে মনে মনে।
বুঝি গো দিন ফুরিয়ে গেল আজি,
এখনো মেঘ আছে আকাশ ভরে।
থেমে এল বাতাস বেণুবনে,
মাঠের 'পরে বৃষ্টি এল ধরে।
তোমার ছায়া দিলেম তবে ছাড়ি,
লও গো তোমার ভূমি-আসন কাড়ি,
সন্ধ্যা হল-- দুয়ার করো রোধ,
যাব আমি আপন পথ-'পরে।
বুঝি গো দিন ফুরিয়ে গেল আজি,
এখনো মেঘ আছে আকাশ ভরে।
মিথ্যা আমায় কেন শরম দিলে
চোখের চাওয়া নীরব তিরস্কারে!
আছে আমার নতুন-ছাওয়া ঘর
পাড়ার পরে পদ্মদিঘির ধারে।
কুটিরতলে দিবস হলে গত
জ্বলে প্রদীপ ধ্রুবতারার মতো,
আমি কারো চাই নে কোনো দান
কাঙালবেশে কোনো ঘরের দ্বারে।
মিথ্যা আমায় কেন শরম দিলে
চোখের চাওয়া নীরব তিরস্কারে!
আরো দেখুন
নূতন
Verses
আমরা খেলা খেলেছিলেম,
আমরাও গান গেয়েছি;
আমরাও পাল মেলেছিলেম,
আমরা তরী বেয়েছি।
হারায় নি তা হারায় নি,
বৈতরণী পারায় নি,
নবীন আঁখির চপল আলোয়
সে কাল ফিরে পেয়েছি।
দূর রজনীর স্বপন লাগে
আজ নূতনের হাসিতে।
দূর ফাগুনের বেদন জাগে
আজ ফাগুনের বাঁশিতে।
হায় রে সেকাল, হায় রে
কখন্ চলে যায় রে
আজ একালের মরীচিকায়
নতুন মায়ায় ভাসিতে।
যে মহাকাল দিন ফুরালে
আমার কুসুম ঝরাল,
সেই তোমারি তরুণ ভালে
ফুলের মালা পরাল।
কইল শেষের কথা সে,
কাঁদিয়ে গেল হতাশে,
তোমার মাঝে নতুন সাজে
শূন্য আবার ভরাল।
আনলে ডেকে পথিক মোরে
তোমার প্রেমের আঙনে।
শুকনো ঝোরা দিল ভরে
এক পসলায় শাঙনে।
সন্ধ্যামেঘের কোনাতে
রক্তরাগের সোনাতে
শেষ নিমেষের বোঝাই দিয়ে
ভাসিয়ে দিলে ভাঙনে।
আরো দেখুন
এই মোর সাধ যেন এ জীবনমাঝে
Verses
এই মোর সাধ যেন এ জীবনমাঝে
তব আনন্দ মহাসংগীতে বাজে।
তোমার আকাশ, উদার আলোকধারা,
দ্বার ছোটো দেখে ফেরে না যেন গো তারা,
ছয় ঋতু যেন সহজ নৃত্যে আসে
অন্তরে মোর নিত্য নূতন সাজে।
তব আনন্দ আমার অঙ্গে মনে
বাধা যেন নাহি পায় কোনো আবরণে।
তব আনন্দ পরম দুঃখে মম
জ্বলে উঠে যেন পুণ্য আলোকসম,
তব আনন্দ দীনতা চূর্ণ করি'
ফুটে উঠে ফেটে আমার সকল কাজে।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.