ক্ষান্তবুড়ির দিদিশাশুড়ির পাঁচ বোন থাকে কাল্নায়, শাড়িগুলো তারা উনুনে বিছায়, হাঁড়িগুলো রাখে আল্নায়। কোনো দোষ পাছে ধরে নিন্দুকে নিজে থাকে তারা লোহাসিন্দুকে, টাকাকড়িগুলো হাওয়া খাবে ব'লে রেখে দেয় খোলা জাল্নায়-- নুন দিয়ে তারা ছাঁচিপান সাজে, চুন দেয় তারা ডাল্নায়।
এ আমির আবরণ সহজে স্খলিত হয়ে যাক; চৈতন্যের শুভ্র জ্যোতি ভেদ করি কুহেলিকা সত্যের অমৃত রূপ করুক প্রকাশ। সর্বমানুষের মাঝে এক চিরমানবের আনন্দকিরণ চিত্তে মোর হোক বিকীরিত। সংসারের ক্ষুব্ধতার স্তব্ধ ঊর্ধ্বলোকে নিত্যের যে শান্তিরূপ তাই যেন দেখে যেতে পারি, জীবনের জটিল যা বহু নিরর্থক, মিথ্যার বাহন যাহা সমাজের কৃত্রিম মূল্যেই, তাই নিয়ে কাঙালের অশান্ত জনতা দূরে ঠেলে দিয়ে এ জন্মের সত্য অর্থ স্পষ্ট চোখে জেনে যাই যেন সীমা তার পেরোবার আগে।