এসেছিলে তবু আস নাই, তাই জানায়ে গেলে সমুখের পথে পলাতকা পদ-পতন ফেলে। তোমার সে উদাসীনতা উপহাসভরে জানালো কি মোর দীনতা। সে কি ছল-করা অবহেলা, জানি না সে-- চপল চরণ সত্য কি ঘাসে ঘাসে গেল উপেক্ষা মেলে। পাতায় পাতায় ফোঁটা ফোঁটা ঝরে জল, ছলছল করে শ্যাম বনান্ততল। তুমি কোথা দূরে কুঞ্জছায়াতে মিলে গেলে কলমুখর মায়াতে, পিছে পিছে তব ছায়ারৌদ্রের খেলা গেলে তুমি খেলে।
এ কথা মানিব আমি, এক হতে দুই কেমনে যে হতে পারে জানি না কিছুই। কেমনে যে কিছু হয়, কেহ হয় কেহ, কিছু থাকে কোনোরূপে, কারে বলে দেহ, কারে বলে আত্মা মন, বুঝিতে না পেরে চিরকাল নিরখিব বিশ্বজগতেরে নিস্তব্ধ নির্বাক্ চিত্তে। বাহিরে যাহার কিছুতে নারিব যেতে আদি অন্ত তার, অর্থ তার, তত্ত্ব তার, বুঝিব কেমনে নিমেষের তরে? এই শুধু জানি মনে সুন্দর সে, মহান সে, মহাভয়ংকর, বিচিত্র সে, অজ্ঞেয় সে, মম মনোহর। ইহা জানি, কিছুই না জানিয়া অজ্ঞাতে নিখিলের চিত্তস্রোত ধাইছে তোমাতে।