"কড়ি ও কোমল' রচনার পূর্বে কাব্যের ভাষা আমার কাছে ধরা দেয়নি। কাঁচা বয়সে মনের ভাবগুলো নূতনত্বের আবেগ নিয়ে রূপ ধরতে চাচ্ছে, কিন্তু যে উপাদানে তাদেরকে শরীরের বাঁধন দিতে পারত তারই অবস্থা তখন তরল; এইজন্যে ওগুলো হয়েছে ঢেউওআলা জলের উপরকার প্রতিবিম্বের মতো আঁকাবাঁকা; ওরা মূর্ত হয়ে ওঠেনি সুতরাং কাব্যের পদবীতে পৌঁছতে পারেনি। সেইজন্য আমার মত এই যে, কড়ি ও কোমলের পর থেকেই আমার কাব্যরচনা ভালো মন্দ সব-কিছু নিয়ে একটা স্পষ্ট সৃষ্টির ধারা অবলম্বন করেছে। প্রভাতসংগীতে যে অবস্থায় আমার প্রথম বিকাশোন্মুখ মন অপরিণত ভাবনা নিয়ে অপরিস্ফুট রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিল, তার কথা আজও আমার মনে আছে। তার পূর্বে সন্ধ্যাসংগীতের পর্বে আমার মনে কেবলমাত্র হৃদয়বেগের গদ্গদভাষী আন্দোলন চলছিল। প্রভাতসংগীতের ঋতুতে আপনা-আপনি দেখা দিতে আরম্ভ করেছে একটা-আধটা মননের রূপ, অর্থাৎ ফুল নয় সে, ফসলের পালা, সেও অশিক্ষিত বিনা চাষের জমিতে।
I TRAVELLED the old road every day, I took my fruits to the market, my cattle to the meadows, I ferried my boat across the stream and all the ways were well known to me. One morning my basket was heavy with wares. Men were busy in the fields, the pastures crowded with cattle; the breast of earth heaved with the mirth of ripening rice. Suddenly there was a tremor in the air, and the sky seemed to kiss me on my forehead. My mind started up like the morning out of mist. I forgot to follow the track. I stepped a few paces from the path, and my familiar world appeared strange to me, like a flower I had only known in bud. My everyday wisdom was ashamed. I went astray in the fairyland of things. It was the best luck of my life, that I lost my path that morning, and found my eternal childhood.