আমার আর হবে না দেরি-- আমি শুনেছি ওই বাজে তোমার ভেরী। তুমি কি নাথ, দাঁড়িয়ে আছ আমার যাবার পথে। মনে হয় যে ক্ষণে ক্ষণে মোর বাতায়ন হতে তোমায় যেন হেরি-- আমার আর হবে না দেরি। আমার কাজ হয়েছে সারা, এখন প্রাণে বাঁশি বাজায় সন্ধ্যাতারা। দেবার মতো যা ছিল মোর নাই কিছু আর হাতে, তোমার আশীর্বাদের মালা নেব কেবল মাথে আমার ললাট ঘেরি-- এখন আর হবে না দেরি।
গাড়িতে মদের পিপে ছিল তেরো-চোদ্দো, এঞ্জিনে জল দিতে দিল ভুলে মদ্য। চাকাগুলো ধেয়ে করে ধানখেত-ধ্বংসন, বাঁশি ডাকে কেঁদে কেঁদে 'কোথা কানু জংশন'-- ট্রেন করে মাতলামি নেহাত অবোধ্য, সাবধান করে দিতে কবি লেখে পদ্য।
তল্লাস করেছিনু, হেথাকার বৃক্ষের চারি দিকে লক্ষণ মধু-দুর্ভিক্ষের। মৌমাছি বলবান পাহাড়ের ঠাণ্ডার, সেখানেও সম্প্রতি ক্ষীণ মধুভাণ্ডার-- হেন দুঃসংবাদ পাওয়া গেছে চিঠিতে। এ বছর বৃথা যাবে মধুলোভ মিটিতে। তবু কাল মধু-লাগি করেছিনু দরবার, আজ ভাবি অর্থ কি আছে দাবি করবার। মৌচাক-রচনায় সুনিপুণ যাহারা তুমি শুধু ভেদ কর তাহাদের পাহারা। মৌমাছি কৃপণতা করে যদি গোড়াতেই, জাস্তি না মেলে তবু খুশি রব থোড়াতেই। তাও কভু সম্ভব না হয় যদিস্যাৎ তা হলে তো অবশেষে শুধু গুড় দদ্যাৎ। অনুরোধ না মিটুক মনে নাহি ক্ষোভ নিয়ো, দুর্লভ হলে মধু গুড় হয় লোভনীয়। মধুতে যা ভিটামিন কম বটে গুড়ে তা, পূরণ করিয়া লব টমেটোয় জুড়ে তা। এইভাবে করা ভালো সন্তোষ-আশ্রয়-- কোনো অভাবেই কভু তার নাহি নাশ রয়।