তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি বিচিত্র ছলনাজালে, হে ছলনাময়ী। মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছ নিপুণ হাতে সরল জীবনে। এই প্রবঞ্চনা দিয়ে মহত্ত্বেরে করেছ চিহ্নিত; তার তরে রাখ নি গোপন রাত্রি। তোমার জ্যোতিষ্ক তা'রে যে-পথ দেখায় সে যে তার অন্তরের পথ, সে যে চিরস্বচ্ছ, সহজ বিশ্বাসে সে যে করে তা'রে চিরসমুজ্জল। বাহিরে কুটিল হোক অন্তরে সে ঋজু, এই নিয়ে তাহার গৌরব। লোকে তা'রে বলে বিড়ম্বিত। সত্যেরে সে পায় আপন আলোকে ধৌত অন্তরে অন্তরে। কিছুতে পারে না তা'রে প্রবঞ্চিতে, শেষ পুরস্কার নিয়ে যায় সে যে আপন ভান্ডারে। অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে সে পায় তোমার হাতে শান্তির অক্ষয় অধিকার।
আলেয়া সখী প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে! তারে আমার মাথার একটি কুসুম দে। যদি শুধায় কে দিল, কোন্ ফুলকাননে, তোর শপথ, আমার নামটি বলিস নে। সখী প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে! সখী, তরুর তলায় বসে সে ধুলায় যে! সেথা বকুলমালায় আসন বিছায়ে দে। সে যে করুণা জাগায় সকরুণ নয়নে-- কেন কী বলিতে চায়, না বলিয়া যায় সে। সখী প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে!