তুমি আড়াল পেলে কেমনে এই মুক্ত আলোর গগনে? কেমন করে শূন্য সেজে ঢাকা দিলে আপনাকে যে, সেই খেলাটি উঠল বেজে বেদনে-- আমার প্রাণের বেদনে। আমি এই বেদনার আলোকে তোমায় দেখব দ্যুলোক-ভূলোকে। সকল গগন বসুন্ধরা বন্ধুতে মোর আছে ভরা, সেই কথাটি দেবে ধরা জীবনে-- আমার গভীর জীবনে।
পাহাড়ের নীলে আর দিগন্তের নীলে শূন্যে আর ধরাতলে মন্ত্র বাঁধে ছন্দে আর মিলে। বনেরে করায় স্নান শরতের রৌদ্রের সোনালি। হলদে ফুলের গুচ্ছে মধু খোঁজে বেগুনি মৌমাছি। মাঝখানে আমি আছি, চৌদিকে আকাশ তাই দিতেছে নিঃশব্দ করতালি। আমার আনন্দে আজ একাকার ধ্বনি আর রঙ, জানে তা কি এ কালিম্পঙ। ভান্ডারে সঞ্চিত করে পর্বতশিখর অন্তহীন যুগ-যুগান্তর। আমার একটি দিন বরমাল্য পরাইল তারে, এ শুভ সংবাদ জানাবারে অন্তরীক্ষে দুর হতে দুরে অনাহত সুরে প্রভাতে সোনার ঘণ্টা বাজে ঢঙ ঢঙ, শুনিছে কি এ কালিম্পঙ।