বাঙাল যখন আসে মোর গৃহদ্বারে, নূতন লেখার দাবি লয়ে বারে বারে; আমি তাঁরে হেঁকে বলি সরোষ গলায়-- শেষ দাঁড়ি টানিয়াছি কাব্যের কলায়। মনে মনে হাসে, তবুও সে ফিরে ফিরে আসে। তারপর এ কী? সকালে উঠিয়া দেখি নির্লজ্জ লাইনগুলো যত বাহির হইয়া আসে গুহা হতে নির্ঝরের মতো। পশ্চিমবঙ্গের কবি দেখিলাম মোর বাঙালের মতো নাই জেদের অপ্রতিহত জোর।
লাঙল কাঁদিয়া বলে ছাড়ি দিয়ে গলা, তুই কোথা হতে এলি ওরে ভাই ফলা? যেদিন আমার সাথে তোরে দিল জুড়ি সেই দিন হতে মোর মাথা-খোঁড়াখুঁড়ি। ফলা কহে, ভালো ভাই, আমি যাই খ'সে, দেখি তুমি কী আরামে থাক ঘরে ব'সে। ফলাখানা টুটে গেল, হল্খানা তাই খুশি হয়ে পড়ে থাকে, কোনো কর্ম নাই। চাষা বলে, এ আপদ আর কেন রাখা, এরে আজ চালা করে ধরাইব আখা। হল্ বলে, ওরে ফলা, আয় ভাই ধেয়ে-- খাটুনি যে ভালো ছিল জ্বলুনির চেয়ে।