তোমায় দেখে মনে লাগে ব্যথা, হায় বিদেশী পান্থ। এই দারুণ রৌদ্রে, এই তপ্ত বালুকায় তুমি কি পথভ্রান্ত। দুই চক্ষুতে এ কী দাহ জানি নে, জানি নে, জানি নে, কী যে চাহ। চলো চলো আমাদের ঘরে, চলো চলো ক্ষণেকের তরে, পাবে ছায়া, পাবে জল। সব তাপ হবে তব শান্ত। কথা কেন নেয় না কানে, কোথা চ'লে যায় কে জানে। মরণের কোন্ দূত ওরে করে দিল বুঝি উদ্ভ্রান্ত।
যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি। ঝড় এসেছে, ওরে, এবার ঝড়কে পেলেম সাথি। আকাশ-কোণে সর্বনেশে ক্ষণে ক্ষণে উঠছে হেসে, প্রলয় আমার কেশে বেশে করছে মাতামাতি। যে পথ দিয়ে যেতেছিলেম ভুলিয়ে দিল তারে, আবার কোথা চলতে হবে গভীর অন্ধকারে। বুঝি বা এই বজ্ররবে নূতন পথের বার্তা কবে, কোন্ পুরীতে গিয়ে তবে প্রভাত হবে রাতি।
ওগো পুরবাসী, আমি দ্বারে দাঁড়ায়ে আছি উপবাসী॥ হেরিতেছি সুখমেলা, ঘরে ঘরে কত খেলা, শুনিতেছি সারা বেলা সুমধুর বাঁশি॥ চাহি না অনেক ধন, রব না অধিক ক্ষণ, যেথা হতে আসিয়াছি সেথা যাব ভাসি-- তোমরা আনন্দে রবে নব নব উৎসবে, কিছু ম্লান নাহি হবে গৃহভরা হাসি॥