কাঠবিড়ালির ছানাদুটি আঁচলতলায় ঢাকা, পায় সে কোমল করুণ হাতে পরশ সুধামাখা। এই দেখাটি দেখে এলেম ক্ষণকালের মাঝে, সেই থেকে আজ আমার মনে সুরের মতো বাজে। চাঁপাগাছের আড়াল থেকে একলা সাঁঝের তারা একটুখানি ক্ষীণ মাধুরী জাগায় যেমনধারা, তরল কলধ্বনি যেমন বাজে জলের পাকে গ্রামের ধারে বিজন ঘাটে ছোটো নদীর বাঁকে, লেবুর ডালে খুশি যেমন প্রথম জেগে ওঠে একটু যখন গন্ধ নিয়ে একটি কুঁড়ি ফোটে, দুপুর বেলায় পাখি যেমন-- দেখতে না পাই যাকে-- ঘন ছায়ায় সমস্ত দিন মৃদুল সুরে ডাকে, তেমনিতরো ওই ছবিটির মধুরসের কণা ক্ষণকালের তরে আমায় করেছে আনমনা। দুঃখসুখের বোঝা নিয়ে চলি আপন মনে, তখন জীবন-পথের ধারে গোপন কোণে কোণে হঠাৎ দেখি চিরাভ্যাসের অন্তরালের কাছে লক্ষ্মীদেবীর মালার থেকে ছিন্ন পড়ে আছে ধূলির সঙ্গে মিলিয়ে গিয়ে টুকরো রতন কত-- আজকে আমার এই দেখাটি দেখি তারির মতো।
THE OVERFLOWING bounty of thy grace comes down from the heaven to seek my soul only, wherein it can contain itself. The light that is rained from the sun and stars is fulfilled when it reaches my life. The colour is like sleep that clings, to the flower which waits for the touch of my mind to be awakened. The low that tunes the strings of existence breaks out in music when my heart is won.
কেন মনে হয়-- তোমার এ গানখানি এখনি যে শোনালে তা নয়। বিশেষ লগ্নের কোনো চিহ্ন পড়ে নাই এর সুরে; শুধু এই মনে পড়ে, এই গানে দিগন্তের দূরে আলোর কাঁপনখানি লেগেছিল সন্ধ্যাতারকার সুগভীর স্তব্ধতায়,সে-স্পন্দন শিরায় আমার রাগিণীর চমকেতে রহি রহি বিচ্ছুরিছে আলো আজি দেয়ালির দিনে। আজো এই অন্ধকারে জ্বালো সেই সায়াহ্নের স্মৃতি, যে নিভৃতে নক্ষত্রসভায় নীহারিকা ভাষা তার প্রসারিল নিঃশব্দ প্রভায়-- যে-ক্ষণে তোমার স্বর জ্যোতির্লোকে দিতেছিল আনি অনন্তের-পথ-চাওয়া ধরিত্রীর সকরুণ বাণী। সেই স্মৃতি পার হয়ে মনে মোর এই প্রশ্ন লাগে, কালের-অতীত প্রান্তে তোমারে কি চিনিতাম আগে। দেখা হয়েছিল না কি কোনো-এক সংগীতের পথে অরূপের মন্দিরেতে অপরূপ ছন্দের জগতে।