দুঃখের বরষায় চক্ষের জল যেই নামল বক্ষের দরজায় বন্ধুর রথ সেই থামল। মিলনের পাত্রটি পূর্ণ যে বিচ্ছেদে বেদনায়; অর্পিনু হাতে তাঁর, খেদ নাই, আর মোর খেদ নাই। বহুদিন-বঞ্চিত অন্তরে সঞ্চিত কী আশা, চক্ষের নিমেষেই মিটল সে পরশের তিয়াষা। এতদিনে জানলেম যে কাঁদন কাঁদলেম সে কাহার জন্য। ধন্য এ জাগরণ, ধন্য এ ক্রন্দন, ধন্য রে ধন্য।
তুমি যখন গান গাহিতে বল গর্ব আমার ভ'রে ওঠে বুকে; দুই আঁখি মোর করে ছল ছল নিমেষহারা চেয়ে তোমার মুখে। কঠিন কটু যা আছে মোর প্রাণে গলিতে চায় অমৃতময় গানে, সব সাধনা আরাধনা মম উড়িতে চায় পাখির মতো সুখে। তৃপ্ত তুমি আমার গীতরাগে, ভালো লাগে তোমার ভালো লাগে, জানি আমি এই গানেরি বলে বসি গিয়ে তোমারি সম্মুখে। মন দিয়ে যার নাগাল নাহি পাই, গান দিয়ে সেই চরণ ছুঁয়ে যাই, সুরের ঘোরে আপনাকে যাই ভুলে, বন্ধু ব'লে ডাকি মোর প্রভুকে।